"এই তো জানু পেতে বসেছি, পশ্চিম..... । " তবে প্রার্থনার জন্য নয়। হিন্দুশাস্ত্র মতে জীবন একটা বহমান নিয়মানুবর্তিতা, পালনীয় শৈলী। জীবন কীভাবে মসৃণ চলতে থাকবে তার কিছু নিয়ম-নির্দেশ দেওয়া রয়েছে হিন্দুশাস্ত্রে। তবে জীবনে ব্যক্তিবিশেষের চাহিদারও তারতম্য রয়েছে। তা নির্ভর করে ব্যক্তির জীবন দর্শনের উপর।
মনুসংহিতায় হিন্দু জীবনশৈলী সম্পর্কে বলা রয়েছে। কোনও একজন দীর্ঘ জীবন কামনা করেন। তাঁর পূর্বদিকে মুখ করে বসে খাওয়া উচিৎ। পূর্বদিকে সূর্যোদয় হয়। পূর্ব দিককে তাই যাবতীয় শক্তির আধার মনে করা হয়। তাই দুর্দান্ত মেটাবলিজম বা পাচনের মাধ্যমে শরীর গঠন ও শক্তিশালী হয়ে ওঠার জন্য পূর্বদিক গুরুত্বপূর্ণ।
কেউ কেউ অর্থাভাব কাটাতে চান, ধনবৃদ্ধি চান। তাঁদের পশ্চিমমুখো হয়ে খাওয়া বিধেয়। দর্শনটি অবশ্য চমৎকার। অর্থ জীবনে প্রয়োজনীয় ঠিকই। তবে তা চিরস্থায়ী নয়, অনিত্য। কাজেই সাময়িক সুখস্বস্তির জন্য তা উপযুক্ত। অনেকে সৎ, আদর্শনিষ্ট জীবনযাপনকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তাঁরা উত্তরমুখো হয়ে খেতে বসতে পারেন। কারণ উত্তর দিক দেবস্থান। হিন্দু জীবনদর্শনে জীবদেহে ঈশ্বরের বাস মনে করা হয়। জীবাত্মা তৃপ্ত হলে ঈশ্বর তুষ্ট হন। তাতেই আদর্শনিষ্ট সৎ জীবনযাপন করা যায়।
দক্ষিণ দিক পরাক্রম, বিজয় নির্দেশ করে। তাই যাঁরা যশ প্রত্যাশী তাঁরা দক্ষিণমুখো হয়ে খেতে পারেন। তবে বাবা মা বেঁচে থাকলে দক্ষিণ দিকে বসে খেতে নেই।
মন্তব্য - আলোচনায় যোগ দিন 0 মন্তব্য | প্রবেশ করুন