দিল্লির হিংসা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে নামানো হবে সেনা বাহিনী।আজ , মঙ্গলবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৈঠক ডাকেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপরাজ্যপাল অনিল বৈজল, দিল্লির পুলিশ কমিশনার, বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারি, কংগ্রেস নেতা সুভাষ চোপড়া। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল সাংবাদিকদের প্রয়োজনে সেনা নামানোর কথা জানান।শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও।
নেভেনি আগুন, জ্বলছে এখনও। মঙ্গলবারও দিল্লির মৌজপুর, ব্রক্ষ্মপুর, গোকুল্পুরী, ভজনপুর চক এলাকায় নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে। এদিন দুপুর পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয়ে।এদিন সকালে মৌজাপুর এবং ব্রক্ষ্মপুরে সি এ এ সমর্থনকারী এবং প্রতিবাদীদের মধ্যে পাথর বৃষ্টি শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি মোটরবাইক। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে একটি ই-রিকশতে। পরিস্থিতি এমনই যে আগুন লাগার খবর পেয়েও পুলিশি নিরাপত্তা ছাড়া ঘটনাস্থলে যেতে চাইছেন না দমকল কর্মীরা।হিংসার খবর করতে গিয়ে গুলির মুখে পড়তে হয় সাংবাদিকদেরও। লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান ঐ সাংবাদিক। জানা গেছে প্রায় পাঁচ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
এদিকে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার নেওয়ার দাবি তুলেছেন বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর। তিনি বলেন হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য যে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি যে দলের বা যে পদেরই হোন না কেন। রবিবারই নাগরিক আইনের সমর্থনে মিছিল করেন কপিল মিশ্র। সে মিছিল জাফরাবাদে অবস্থান বিক্ষোভরত প্রতিবাদীদের মুখোমুখী হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় হিংসা। সেদিনই কপিল মিশ্র হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তিন দিনের মধ্যে রাস্তা খালি করা না হলে, তিনি পথে নামবেন তখন পুলিশের কথাও শুনবেন না। তাঁর এই মন্তব্যের জন্যই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর।
এদিকে সোমবারের হিংসার ঘটনার আগে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে রীতিমতো গায়ে বর্ম আঁটা এক পুলিশ কর্মীর সামনে কয়েকজন যুবক একটি কাপড়ে পাথর জড়ো করছে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশের সামনেই পাথর জড়ো করছে কারা। আর পুলিশই বা কী করছে?
এদিকে সোমবারের হিংসায় মৃত হেড কনস্টেবল রতনলালের বাড়িতে এখন গভীর শূণ্যতা। তিন ছেলে-মেয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার এখন গভীর সংকটের মুখে পড়েছে। রতনলালই ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগারে। তিনি চলে যাওয়ায় ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় পড়েছে তার পরিবার।
Delhi p0lice is enemy of india ???????? misusing their power. What’s the difference between terri0sts and delhi P0lice. ? pic.twitter.com/WBDpiq3oJi
মন্তব্য - আলোচনায় যোগ দিন 0 মন্তব্য | প্রবেশ করুন