বাংলায় একটা কথা আছে, ভাঙবো তবু মচকাবো না। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এখন সেই দশা। বুঝতে পারছেন তিনি হেরে গেছেন, তবুও তা মানবেন না। অবশেষে তিনি বলেছেন ২০ জানুয়ারি তিনি হোয়াইট হাউস ছেড়ে যেতে পারেন, তবে একটা শর্তে? কি সেই শর্ত? যদি ইলেক্ট্রোরাল কলেজ জো বাইডেনকে জয়ী বলে ঘোষণা করেন। সকলেই জানেন এই ঘোষণা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা এবং একটি পদ্ধতির ব্যাপার। তবু ট্রাম্প সেই বিষয়টিকেই নিজের শর্ত বলে জানিয়ে দিলেন।
নির্বাচনের পর থেকেই ট্রাম্প হার স্বীকার করতে রাজি ছিলেন না। বার বার তিনি ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন। এমনকি এই অভিযোগে তিনি আদালতেও গিয়েছেন। আদালত ট্রাম্পের অভিযোগ খারিজ করে দেয়। তবুও তিনি হার স্বীকারে রাজি ছিলেন না। অবশেষে তিনি নিজেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হার স্বীকারের কথা বলেছেন, শর্ত চাপিয়ে।সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ইলেক্ট্ররাল কলেজ বাইডেনকে জয়ী ঘোষণা করলে তিনি হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যাবেন কি? ট্রাম্প বলেন, নিশ্চয়ই। আপনারাও সেটা জানেন। একই সংগে তিনি বলেন, তবে তারা তা করলে সেটা বড় ভুল হবে। হার মেনে নেওয়া খুব কঠিন ব্যাপার। ট্রাম্প বলেন আমার মনে হয় ২০ জানুয়ারির মধ্যে অনেক কিছুই ঘটবে।
আগামি ১৪ ডিসেম্বর ইলেক্ট্ররাল কলেজ বৈঠকে বসবে। সেখানেই বাইডেনকে জয়ী বলে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। সদ্য সমাপ্ত মার্কিন ভোটে বাইডেন পেয়েছেন ৩০৬টি ইলেক্ট্ররাল ভোট এবং ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩৬টি ভোট।
কিছুদিন ধরে বেশ কিছু প্রবীন রিপাবলিকান ট্রাম্পের ওপর হার মেনে নেওয়ার জন্য চাপ বাড়াচ্ছিলেন। মনে করা হচ্ছে সেই কারণেই তিনি বৃহস্পতিবার হার স্বীকারের ইঙ্গিত দেন। তবে এদিনও তিনি এই ভোটকে কারচুপির ভোট বলে উল্লেখ করেছেন ।
অন্যদিকে বাইডেন বলেছেন, আমেরিকার মানুষ এই স্বচ্ছ ভোটকে বানচাল করার কোনও চেষ্টাই মেনে নেবেন না। এর মধ্যেই বাইডেন তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং সেক্রেটারি অব স্টেট সহ একাধিক শীর্ষ আধিকারিক কে বেছে নিয়েছেন। বাইডেন বলেছেন , আমেরিকা আবার স্ব মহিমায় ফিরছে, বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে সে তৈরি।
মন্তব্য - আলোচনায় যোগ দিন 0 মন্তব্য | প্রবেশ করুন