মারুতি সুজুকির অল্টো ৮০০-কে মধ্যবিত্তের প্রথম গাড়ি বলাই যায়। মারুতি এইট হান্ড্রেডের নতুন অবতার হিসেবে অল্টো ৮০০ বাজারে আসার পরেই হিট। ভারতের ‘পিপলস কার’এর টপ এন্ড ভার্সন অল্টো ৮০০ ভিএক্সআই প্লাস সদ্য বাজারে এনেছে দেশের সব চাইতে বড় গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা মারুতি সুজুকি।
ভিএক্সআই প্লাস অল্টোর নিউ জেনারেশন ফেসলিফ্ট মডেলের উপরেই তৈরি। কলকাতায় এই স্মল হ্যাচব্যাক গাড়িটির অন রোড দাম কমবেশি চার লক্ষ পঁয়ষট্টি হাজার টাকা থেকে শুরু। অ্যাকসেসরিজের দাম অবশ্য আলাদা। এই ট্রিমের মডেলটিতে বেশ কিছু নতুন ফিচার্স একেবারে স্ট্যান্ডার্ড। যেমন, হালফিলের স্মার্ট-প্লে টাচস্ক্রিন ইনফোটেনমেন্ট ডিসপ্লে, যেটি মারুতির অন্য সেগমেন্টের দামি গাড়িগুলিতে লাগানো থাকে, তা মিলবে।
ব্লু-টুথ কানেক্টিভিটি, অ্যান্ড্রয়েড অটো মোড, জিপিএস সবই আছে এই টাচস্ক্রিন ডিসপ্লেতে। নতুন দূষণবিধি মেনে অল্টো ৮০০-য় আটশো সিসির বিএস সিক্স মানের নতুন তিন সিলিন্ডারের ইঞ্জিন লাগানো হয়েছে। যা আগের ইঞ্জিনের থেকে পঁচিশ শতাংশ কম নাইট্রোজেন অক্সাইড উৎপন্ন করে। ৪৭ বিএইচপির অল্টোর পেপি ইঞ্জিন শহর ও শহরতলির পক্ষে দারুন উপযোগী। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের নিরাপত্তা বিষয়ক নতুন নীতি মেনে চলতে হচ্ছে ভারতের সব গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাকেই। সেদিক দিয়ে দেখলেও অল্টো ভিএক্সআই প্লাস এক্কেবারে ইকুইপড।
ড্রাইভার সাইড এয়ারব্যাগ, অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম বা এবিএস-এর সঙ্গে ইলেকট্রনিক ব্রেক ফোর্স ডিস্ট্রিবিউশন বা ইবিডি-র মত উন্নত সেফটি ফিচারস রয়েছে অল্টো ভিএক্সআই প্লাস মডেলটিতে। আচমকা ব্রেক করলেও গাড়িটির কোনও চাকাই যাতে স্কিড না করে তা নিশ্চিত করে এবিএস। আর ইবিডি গাড়ির গতি, অভিমুখ ও ওজন অনুযায়ী চারটি চাকায় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ব্রেকিং ফোর্স ছড়িয়ে দেয়। ফলে চালক অনেক সহজেই চলন্ত গাড়ি থামাতে পারেন। এন্ট্রি লেভেল গাড়িগুলির মধ্যে রিভার্স পার্কিং সেনসর, সিট বেল্ট রিমাইন্ডার আর স্পিড অ্যালার্ট স্ট্যান্ডার্ড ফিটমেন্ট হিসেবে একমাত্র অল্টো ৮০০ ভিএক্সআই প্লাস মডেলেই পাওয়া যাবে। দেখতে ছোটখাট হলেও অল্টোর সেফটি ফিচার্স লিস্ট কিন্তু বেশ লম্বা। ভারতের প্রিয় এন্ট্রি লেভেল কাল এখন আরও বেশি নিরাপদ।
মন্তব্য - আলোচনায় যোগ দিন 0 মন্তব্য | প্রবেশ করুন